Posts

লাশ

লাশটা আজ চায় স্বাধীনতা, চায় কোলাহল থেকে মুক্তি। আচ্ছা লাশ কি ভালবাসা চায় না? তাহলে একা থাকতে চায় কেন? আমরা কি প্রানী হিসাবে ভাল না? হা হা হা লাশের আবার চাওয়া! লাশ কি সব কিছু বুঝতে পারে! সম্পদ কি ভাবে ভাগ করছে কার মনে মনে। লাশ কি সব কিছু শুনতে পায়! কে মিথ্যাচার করছে শুনতে পারতো। অনাকাঙ্খিত লাশের কি কষ্ট হয় না ছুরিকাঘাতে যখন দেহ ক্ষত করে? লাশ'দের রক্তের রঙ কি? সাদা কাপড় ভিজে হয় কেন লাল!

নিরাপদ সড়ক চাই

কোন এক বিকালে ক্লাস শেষে যখন বাসের অপেক্ষায় ধারিয়ে ছিলাম তখনো বুঝেনি এই যে শেষ হতে যাচ্ছে। হঠাৎ কিছুই শুনতে পারছিলাম না, কিছু দেখছিলাম না, একটা হাত আরেকটা হাত খোঁজ করছিল।মনে হল সারা শরীর ভিজে গেছে, এতো রোঁদের মাঝে বৃষ্টি আসলো কোথায় থেকে? পরে আমাকে নিয়ে গেল মানুষের কষাই খানায় আর কেউ একজন আমার একহাত ধরে বলল "No more"................এত মানুষের ভিড়ে একটা গাড়ি দেখা যাচ্ছিল যেখানে লিখা ছিল "মেরামত করার অযোগ্য" সব কিছু হাড়িয়ে যখন স্বপ্ন দেখতে এই শহরে আসেছিলাম কিন্তু এই শহরের কিছু অ মানুষিক সিস্টেমের মাঝেই ইতি টানতে হল।

ভালবাসার ও পিট

আকাশটা আজ কত অভিমানী, জ্বলবে পুড়বে তবুও কাঁদবে না। সে নিজে কষ্ট পাচ্ছে বিষণ তাপে, কষ্ট দিচ্ছে প্রাণীদেহ কে। অসুস্থ ভালবাসা গুলা এমনি হয় না পায় নিজে সুখ না দেয় অন্যকে তবুও পাগোলের মত ভালবাসে। আছা ভালাবাসার কি কোন কমদামী বেশীদামী বলতে কিছু আছে! আমার কাছে তো ভালবাসা মানি ভালবাসা। তাহলে কেন পরকিয়া হয়? রাতপরী সাথে সস্তায় অবৈধ ভালবাসা বীজ গাথি, আবার কেউ ক্যারিয়ার জন্য নিজের পবিত্র ভালবাসাটা ও তুলে দেই শুঁকুনের হাতে। ভালবাসাটা কি শুধুই মাংস পেশী আর রসায়ন? অনেক ছেলেমেয়েকে দেখি প্রেমিক প্রেমিকা ভালবাসা না পেয়ে সুইসাইড করে, কই কখনো তো শুনিনা সন্তানের ভালবাসা না পেয়ে বাবা মা বা বাবা মা'র ভালবাসা না পেয়ে সন্তান সুইসাইড করতে। ভালবাসা কি শুধু প্রেমিক প্রেমিকা ঘিরে? ভালবাসাকে অনেকে অশ্লীল করে ব্যবসা করি। ভালবাসা প্রকাশ করার জন্য নিজেকে খোলামেলা করি, হটি হই,সেক্সি হই,ফিগার দেখাই। ভালবাসাটা কি আর্থিক এর প্রডাক্ট? ভালবাসা ভালবাসা ভালবাসা করে অনেকি ডিপ্রেশনে পরি, আমরা কি জানি ভালবাসাটার ভালবাসাটা কি? আমরা শুধুই জানি ভালবাসাটার জন্য নিরাপদ চারদেওয়ারি একটা অন্ধকার কামরা।  আমরা...

বোকা প্রেম

থাক'না গোপন কথা গোপনে, হোক'না প্রেম চোখে চোখে, কথা হোক শব্দের মাঝে , মিলন হোক বাতাসে বাতাসে। কল্পনার ভালবাসা গুলো এমনি হয়, প্রকাশ পায় না কোন প্রেক্ষাগৃহে। এই ভালবাসা গুলো কখনো হয় না মরণ, তবে কখনো পায় না জীবন! ভালবাসাটা কি এমন হওয়ার কথা? তাহলে প্রেম যমুনায় ভাসবে কারা!

নিষ্ঠুর হৃদয়

একটা ছেলের টাইমলাইন দেখে বুঝতে পারলাম একটা মেয়ে কতটা স্বার্থপর হলে একটা ছেলের লিখার মাঝে অক্সিজেন এর সাথে কোন পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়া গঠতে পারে। ছেলেটির প্রতিটি লিখায় ফুটে ওঠে এসেছে মেয়েটির অনৈতিক স্বার্থপরতার কথা। মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে প্রায় ৪ বছর আছে আর ছেলেটি এখনো তার মিছে অনুভূতিগুলো নিয়ে লিখে। নিজেকে জ্বালিয়ে দেয় কোন এক অজানার ভালবাসার না পাওয়ার ব্যর্থতা। শুনিলাম মেয়েটি নাকি তার স্বামীর সাথে প্রবাসে থাকে এখনো কোন ছেলে সন্তান নেয় নি তাহলে তো ধরেই নিতে পারি মেয়েটি সুখেই আছে (আমার কাছে মনে হয় না মেয়েটি সুখে আছে সেও কোন একদিক থেকে আগুনের তাপ পাচ্ছে, হৃদয় ক্ষরণ অপরাধে)! যে ছেলেটির কথা বললাম সে ও প্রাবাসে থাকে।

ভার্চুয়াল বন্ধু

তর সাথে যখন আমার প্রথম কথোপকথন হয় মেসেঞ্জারে তুই আমার কথায় গুলাই ফরোয়ার্ড করেই আমাকে দিতে তুই কিছু বলতিস না। মনে আছে তর ঐ দুষ্টামি গুলো। একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম হেরেছিল তখন তর অনেক মন খারাপ ছিল,তখন তুই আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলি মনে আছে। সেইদিন আমাদের মাঝে ফোনে কথা হয়। তর এখনো কি মনে পরে মাঝ রাতে কল দিয়ে তকে আমি কবিতা শুনাতাম আর তুই হেসে বলেছিলে কোন দিন কোন কবিকে বিয়ে করবি না।আমি তকে পাগলী বলতাম শুধু কারনে অকারনে তর হাসি শব্দ শুনে। তুই আমাকে একদিন আই লাভ ইউ বলেছিলি বিশ্বাস করবি কিনা তখন আমার পৃথিবীটা কেপে উঠেছিল। পরে যানতে পারলাম তাতে আমকে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতে আমার মন খারাপ হয় নাই, ততদিনে আমি বাস্তবিক হয়ে গিয়েছিলাম। এভাবে চলে গেল ৩ বছর এক সেকেন্ডের জন্য তকে আমার কাছে বিরক্ত মনে হয় নাই। তুই যেই দিন রাগ করেছিলি জানিস আমার খুব ভয় হয়েছিল যদি আর কথা না হয়। তখন মাথার মাঝে একটা চিন্তা আসলো যেই দিন তর বিয়ে হয়ে যাবে সেইদিন থেকে আমি কি করে থাকব তর সাথে কথা না বলে তর কারনে অকারনে হাসি গুলা না শুনে। তাই কিছুদিন দূরে ছিলাম অন্যের মাঝে হারাতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারি নাই। তখন তর থেক...

গ্রাম

জানিনা কোন উদ্দেশ্য তোমাদের থেকে দূরে কেন লুকিয়ে আছি হাজার মানুষের বিড়ে এই শহরে আমার যে মন পরে থাকে গোমতী পারে সবুজ ঘেরা গ্রামে। গ্রাম কি আমায় ভুলে যাচ্ছে নাকি আমি গ্রামকে ভুলে যাচ্ছি? এই প্রশ্ন যে আমাকে আজ খুব ভাবাচ্ছে। গ্রামের মানুষ গুলা যে কতটা সরল সোজা এই শহরে মানুষের ভিড়ে না হারেলে কি বুঝতে পারতাম! তুমি যে আমার শৈশবের খেলার মাঠ, তুমি যে আমার শৈশবে চলার প্রাণ, তুমি যে আমার শৈশবের বেড়ে উঠার নিশ্বাস। আমি কেন আজ দূরে বসে শৈশবের খেলার মাঠ, প্রাণ আর নিশ্বাসকেই খোজছি। জীবনের শেষ বিকেলটায় যেন সেখানেই কাটে আর শেষ ঘুমটা যেন তারি বুকে হয়। এটাই যেন হারিয়ে ফেল এক গ্রামের প্রতি আমার নিবেদন।