শৈশব

আমার শৈশবটা কাটেনি মায়ের সাথে রিকশা করে আর বাবার আংগুল ধরে রাস্তায় হেটে।
প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে তাদের মাঝে ছিল দ্বিধা শেষ পর্যন্ত ৪০ দিন পর ভর্তি করার। প্রথমে ক্লাশে যায় নি আমার সাথে কেউ যদিও স্কুলটা ছিল কাছে।এভাবেই দুইটা বছর এখানেই কেটে গেল।ক্লাশ রোল ও প্রথম ছিল।

এই স্কুলটা ভাল না বলে ৩য় ক্লাশে দিল দুরের একটা স্কুলে (নবীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়) আমার সাথে সঙ্গী ছিল পাশের বাড়ির দুই চাচাতো ভাই।তাদের সাথেই এই বছরটা পার। দুরের স্কুলে যে দিন প্রথম বার্ষিক পরিক্ষা দেই সে দিন বড় ভাই (বাকি ভাই) নিয়ে যান। ফলাফল ভালই হল ৮৩ থেকে ৩ এ রোল চলে আসে। আমার জন্য ভাই অনেক পরিশ্রম করেন সেই ছিল আমার বাড়ির শিক্ষক।

পরের বছর চলতে থাকল ভাল ভাবেই। এই বছরেই গ্রামে একটা নতুন গিল্ডার গার্ডেন হল সেখানকার স্কুল থেকে আমার মাকে বলা হল তাদের ওখানে ক্লাশ করতে বাবা প্রথম রাজি ছিল না মায়ের চাপে পরে রাজি হয়। প্রথম দিন আমি এই গিল্ডার গার্ডেন ক্লাশ করতে গেলাম সাথে কেউ ছিল না অচেনা পরিবেশে কেমন জানি লাগছিল কাউকে না বলেই ক্লাশে দরজা থেকেই বাড়িতে চলে আসি। পরদিন থেকে দুরের একটা বন্ধুর (প্রশান্ত) সাথে ক্লাশ করতে যাই। কেটে গেল বছর ভাল ফল আসে। ৩ থেকে চলে আছি ২ তে রোল। এই বছরের শেষের ৬ মাস আমার কোন বাড়ির শিক্ষক ছিল না মা'ই আমাকে তখন বাড়িতে পড়াত।

যখন ৫ম ক্লাশে ওঠার পর দুইটা স্কুলে ক্লাশ করতে হত সারাদিন স্কুলেই থাকতাম সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা। খেলাধুলার সময় পাইলাম না।(আরেকটা কথা বলে রাখি আমার মা আমাকে কখনো খেলতে দেয় নি এই কয়েকটা বছর। তবে তার পেছনে একটাই কারন ছিল আমাদের পাড়ায় তেমন কেউ পড়াশুনা করত না তাই আমার খেলার সাথী কেউ ছিল না)।

Comments

Popular posts from this blog

নিষ্ঠুর হৃদয়

ভার্চুয়াল বন্ধু