এতিম ছেলে
বাবা মা হারিয়েছে ছোট থাকতে দাদার কাছে বড় হওয়া, মা'য়ের স্নেহ বাবা'র আধার বলতে কি কখনো বুঝেনি।
ছোটবেলা থেকে কেটেছে চাচার বাসায় তারপর বিভিন্ন ছাত্রাবাসে। জীবনের দিক দেখিয়ে দেয় নাই কেউ। দাদার সম্পত্তি ছিল তাই এখন পড়াশুনা করছে মাঝারি টাইপের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে।
ছেলেটা বিভিন্ন বইপড়তে পছন্দ করে, মিউজিক ভালবাসে ভাল গিটার ও বাজাতে পাড়ে কখনো কাউকে বুঝাতে দেয় নাই। প্রতিভা বলতে তাই আছে।
ছেলেটার বন্ধু বান্ধব তার এই বিষয় নিয়ে তেমন অবগত ছিল না। না থাকার কারণ ছেলেটা দেখলে বুঝায় দুষ্প্রাপ্য।
ছেলেটা একটা সময় একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যেই জানতে পাড়ল যে ছলেটা এতিম তখন সে আর সম্পর্ক রাখেনি (মেয়েটার যোক্তী ছিল এতিম ছেলেকে তার পরিবার মেনে নিবে না)।
কিছু দিন আগে ছেলেটা দাদা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।ছেলেটার কোন ক্লোজ বন্ধু ছিল না (আগেই বলেছিলাম ছেলেটা বিভিন্ন ছাত্রাবাসে বড় হয়েছে তাই তেমন কোন ক্লোজ বন্ধু গড়ে তুলতে পারে নাই)।
একটা মজার ঘটনা ঘটে ছিল তার সাথে, সে একটা টিউশন বের করে। স্টুডেন্ট এর মা তাকে বলে আপনাকে দেখতে তো বড় লোকের ছেলের মত মনে হয়। তাই তাকে আর টিউশনটা দিল না।ছেলেটা তখন কি করে প্রামান করবে যে সে বড় লোকের ছেলে না, তার মাঝে আরেকটা কারন ছিল মেয়ে স্টুডেন্ট।
একটা ছেলে বা মেয়ে তার পরিবার তার সমাজের বাহিরের মত গড়ে ওঠলেই তখন তাকে আর কেই বিশ্বাস করে না হোক সে ভাল।
আমরা একটা মানুষের বাহ্যিক দিকটা দেখেই ভাল মন্দ বিচার করে ফেলি। কেউ তাকে বুঝতে চাই না। কেউ খুঁজিনা তার চোখের নিচের কালো দাগে কত রাত জেগে কাটিয়েছে কষ্টের সাথে।
বাবা মা যে কতটা আপন তা শুধু যার নাই সে জানে।
"বেচে থাকোক হাজার বছর সবার বাবা মা"
Comments
Post a Comment